-
প্রথম পাতা
- আমাদের সম্পর্কে
-
আমাদের সেবা
ডাউনলোড
সেবাসমূহ
প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ
পরিদর্শন
-
ঊর্ধ্বতন অফিস
মন্ত্রণালয়/ অধিদপ্তর
বিভাগ/জেলা
-
তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- ই-সেবা
-
গ্যালারি
----
----
-
যোগাযোগ
অফিস যোগাযোগ
- মতামত
ডুমুরিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান সবজি ও মসলা চাষ
Published : Thursday, 15 জুন, 2023 at 04.41 PM Count : 278
অবজারভার সংবাদদাতা
খুলনার ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নের অল্প কিছু কৃষক মাত্র ১০টি ভাসমান বেড নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। বর্তমানে উপজেলায় ৮০০টি বেড ভাসমান রয়েছে।
বেড তৈরির আগে কৃষকেরা ভাসমান বেড ইচ্ছামত লম্বা-চওড়া করতো। আর বেডের উপর উঠেই পরিচর্যা করতো। ফলে বেডগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত। পরে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন এর পরামর্শে আধুনিক উপায়ে চাষাবাদ করছে কৃষকরা। নির্দিষ্ট চওড়া ও দৈর্ঘ্যের বেড নির্মাণ করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা সহ পরিচর্যা ও ফসল তোলার জন্য ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করছেন কৃষকরা। এতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান বেড়ে সবজি মসলা চাষ।
মধুগ্রামের ভাসমান চাষী মোঃ আব্দুল গফফার বলেন, ৭ বছর ধরে বেডে চাষ করে লাল শাক, পালন শাক, বাটা, ওলকপি চাষ করি। নিজেরা খেয়ে যা অবশিষ্ট থাকে সেগুলো হাট বাজারে বিক্রয় করে তেল লবণ কিনে বাড়ি নিয়ে যাই।
ডুমুরিয়া উপজেলার হাসেম শেখের ছেলে মোঃ ফারুক শেখ জানান, আমি ৪ বছর ধরে পানির উপর বেড তৈরি করে ফুল কপি, মূলা, পালংশাক, পুইশাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে কিছু বিক্রয় করি। ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষকেরা এ পদ্ধতিতে সবজি ও মসলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
বর্তমানে উপজেলার রঘুনাথ পুর, রুদাঘরা ও রং ইউনিয়নের প্রায় ১১০/১২০ জন কৃষক ভাসমান বেডে চাষাবাদ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে কৃষি বিভাগের ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ ভাসমান বেড সবজি ও মসলার চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, এই পদ্ধতিতে বিষ ও কীটনাশক প্রয়োগ না করে শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে কৃষকদের। কমপক্ষে ২ থেকে ৩টি বেড থাকলে প্রত্যেক কৃষককে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় এবারই প্রথম এ ধরনের প্রদর্শনী প্রকল্প চলছে। ইতোমধ্যে কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষ কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহের সৃষ্টি হচ্ছে। পানির উপর বাস, গোজা ভালো করে বেধে বাসের মাচা তৈরি করে কচুড়িপনা দিয়ে ভালো করে পচে জৈব সার হওয়ার পর বিজ দিলে গাছ হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস
কারিগরি সহায়তায়:
সফটওয়্যার তৈরি:
